কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী থানার , চৌরঙ্গীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো:শফিক ও তার ভাই রফিক সহ কয়েকজনার বিরূদ্ধে অবৈধ ভাবে জমি দখল ও সহিংসতার ঘটনার ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
- সংবাদ শিরোনাম :
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
-
১১০৭
বার পঠিত

কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী থানার , চৌরঙ্গীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো:শফিক ও তার ভাই রফিক সহ কয়েকজনার বিরূদ্ধে অবৈধ ভাবে জমি দখল ও সহিংসতার ঘটনার ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার চৌরঙ্গী লক্ষ্মীপুর গ্রামে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আব্দুল বারির
বসতভিটা ও বাড়ির জায়গা প্রতিবেশী মুরাদ, রফিক, ও শফিকের নেতৃত্বে জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। মোহাম্মদ আব্দুল বারি ও তার পরিবার এই অবৈধ
দখলের প্রতিবাদ করলে গতকাল এক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে মোহাম্মদ আব্দুল বারি ও তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত হন।
অভিযোগ অনুযায়ী, হামলায় নেতৃত্ব দেন মোঃ শফিক,মোঃ রফিক, মোহাম্মদ রাজ্জাক (পিতা: ইউসুফ) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (পিতা: রাজ্জাক)। তাদের বিরুদ্ধে
লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনা কেবলমাত্র জমির দখল ও বিতর্কের বিষয় নয়, বরং এটি সামাজিক শান্তি এবং আইন শৃঙ্খলার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অভাবকেও নির্দেশ করে।
আইনী দৃষ্টিকোণ:
জমির মালিকানার বৈধতা ও নথিপত্রের গুরুত্ব এখানে বিশেষভাবে বিবেচিত হতে হবে। যদি মামলা ও আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এই
অবৈধ কর্মকাণ্ডের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সামাজিক প্রভাব:
প্রতিবেশীদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি, এ ধরনের ঘটনা গ্রামীণ সমাজে আইনগত ও সামাজিক অশান্তির কারণ হিসেবে
বিবেচিত হতে পারে। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন
এই প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয় যে, অবৈধ জমি দখলের মতো ঘটনাগুলি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যার সীমা ছাড়িয়ে সামগ্রিক সামাজিক ও আইন
শৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর প্রভাব ফেলে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নথিপত্র যাচাই ও আদালতের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। গ্রাম ও সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক।
এই ছিল ঘটনা সম্বন্ধে বিস্তারিত প্রতিবেদন, যা ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনী প্রক্রিয়া সমর্থনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
নিউজটি শেয়ার করুন.
Leave a Reply