অবৈধ ইট ভাটা বন্ধে আইনের প্রয়োগ চাই 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে বরইচারা গ্রামে জনবসতি এলাকায় এস এস বি ইট ভাটা স্থাপনের কারনে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। এই ভাটার দূষণে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে গত সপ্তাহে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।এবং কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরে অবগত করা হয়।তবুও নেই কোন তদারকি।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এ বলা হয়েছে, বসতি এলাকা, পাহাড়, বন ও জলাভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা করা যাবে না। কৃষিজমিতেও ইটভাটা অবৈধ। অথচ দেশের প্রায় শতভাগ ইটভাটা এই আইন মানছে না।
স্থান নির্বাচনের প্রশ্নেই নয়, জ্বালানিসহ আরও অনেক বিষয়েই আইন লঙ্ঘন করে এই ইটভাটার কার্যক্রম চালাতে দেখা যায়। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসএসবি এর মালিক নাজিম উদ্দীন মোল্লা অবৈধভাবে লোকালয় ও ফসলি জমিতে ইটভাটা গড়ে তুলেছে। এই ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার ধোঁয়ায় গাছ, ফলমূল ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দিনের পর দিন এই অবৈধ ইটভাটা কীভাবে চলছে- সাধারন জনগন সেটা জানতে চাই। ভাটা মালিক নাজিম উদ্দীন মোল্লার ভাষ্যমতে অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর যোগসাজশে এই ইটভাটা চালানো হচ্ছে। কোথায় কীভাবে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে বা জ্বালানি হিসেবে কী ব্যবহার করা যাবে- আইনে শুধু সেটাই বলা হয়নি। আইন না মানলে কোন অপরাধে কী সাজা হবে সেটাও বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় কিনা। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার জন্য আইনের কার্যকর প্রয়োগের বিকল্প নেই।মাঝে মাঝে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানে গুরু পাপে লঘু দন্ড দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন হয় না বলেই অবৈধ ইটভাটা বহাল তবিয়তে আছে।

ইটের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা চলে না। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইটের দরকার আছে। কিন্তু এ প্রয়োজন মেটাতে হবে আইন মেনে। বাস্তবতা হচ্ছে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন মানছে না নাজিম উদ্দীন মোল্লা । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন আইন প্রয়োগ কতটা কঠোর সেই প্রশ্ন রয়েছে।